শিরোনাম
বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

খুলনায় ভাঙন আতঙ্কে কয়েক লাখ মানুষ

পিরোজপুরে বেড়িবাঁধে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার উপকূলীয় এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। গত দুই দিনে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও সাতক্ষীরা শ্যামনগরে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও জমির ফসল। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে উপকূলের কয়েক লাখ মানুষের। অবিলম্বে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, সুন্দরবন সংলগ্ন শিবসা নদীর পানির চাপে দাকোপে ৩১ নম্বর পোল্ডারের তিলডাঙ্গা কামিনীবাসি ও ৩২ নম্বরের নলিয়ান ফরেস্ট অফিসের কাছে বাঁধ ভেঙে গেছে। কয়রার ১৩/১৪-২ পোল্ডারে শাকবাড়িয়া নদীর গাববুনিয়া ও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর কয়েকটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ সব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার সহায়-সম্বল হারিয়ে বাঁধের উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছে। দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত কুমার জানান, প্রতিবছরই বাঁধ ভাঙার বড় কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদাসীনতা। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার পর এলাকাবাসীর দাবি ছিল স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছরেও তা হয়নি। দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় পুনর্বাসনে সম্পৃক্ত বেসরকারি সংস্থা সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান জানান, ঝুঁকি মোকাবিলায় মজবুত ও উঁচু বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন জানান, আরও প্রায় আড়াই ফুট উঁচু করে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলা সম্ভব হবে। এদিকে পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বলেশ্বর নদী তীরবর্তী খেতাছিড়া বলেশ্বর বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ধসে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার চার দিন ধরে পানিবন্দী রয়েছেন। মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের স্থানে স্রোতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন জানান, বলেশ্বর নদের জোয়ারের চাপে খেতাছিড়া বাঁধের দুইটি এবং কচুবাড়িয়ার একটি অংশ ধসে গেছে। ওই তিনটি পয়েন্টে বেড়েছে ভাঙন। দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তিনি। সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পিরোজপুর পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, বাঁধ সংলগ্ন জমির অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর