বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

অনিয়মই যেখানে নিয়ম!

লালমনিরহাট ঝিনাইদহ বিআরটিএ কার্যালয়

লালমনিরহাট ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষগ্রহণ আর দালালদের দৌরাত্ম্যে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) লালমনিরহাট কার্যালয়। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন জোরদার হওয়ার পর অনিয়ম আরও বেড়েছে। কার্যালয়ে সেবা নিতে গিয়ে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলার যানবাহন মালিক-চালকরা। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন মোটরবাইক ব্যবহারকারীরা।  ভুক্তভোগীরা জানান, বিআরটিএ অফিসে গেলে দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ব্যাংকে সরকারি ফি দিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা তা ঠিক করার নামে দালালের হাতে তুলে দেয়। তাদের সঙ্গে চুক্তি করে টাকা দেওয়ার পর অফিসে জমা নেয়। এরপর কাগজ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দালালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয় গ্রাহকদের।  জানা যায়, একটি মাইক্রোবাস রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পরও অফিস খরচ হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হয়। লাইসেন্স নবায়ন করতে দেড় হাজার, ফিটনেস বাবদ অতিরিক্ত ৯০০, রুট পারমিটের জন্য এক হাজার টাকা দিতে হয়। বাস, ট্রাক, পিকাপের ক্ষেত্রে ফিটনেস বাবদ অতিরিক্ত সাড়ে তিন এবং রুট পারমিটে লাগে দুই হাজার টাকা। এছাড়া মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনে আড়াই হাজার, মালিকানা বদলির জন্য দুই হাজার টাকা নেওয়া হয় অফিস খরচের নামে। এছাড়া লাইসেন্স ও কাগজপত্র ডেলিভারির সময় অফিস সহকারীকেও বখশিশের নামে ৩০০-৫০০ টাকা দিতে হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে পরিদর্শক মাহাবুবার রহমান বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী এখানে গ্রাহকসেবা দেওয়া হচ্ছে।’ লালমনিরহাট বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান জানান, তার অফিস দালালমুক্ত।’ এদিকে ঝিনাইদহ বিআরটিএ কার্যালয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না গ্রহকরা। পদে পদে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের। ঘুষ দিলে কাগজপত্রে কোনো সমস্যা থাকে না। আর ঘুষ না দেলেই দেখানো হয় নানা অজুহাত। বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষ দালালের কাছে যেতে বাধ্য হয়। আর এই দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে অফিসের অসাধু কিছু  কর্মকর্তা-কর্মচারীর। ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বিআরটিএ সহকারী বিলাস সরকার জানান, এখানে কোনো রকম হয়রানি করা হচ্ছে না। অফিসে অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অচিরের সব সমস্যা দূর করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর