শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিন্ডিকেটে উজাড় বনাঞ্চল

গাছ কেটে বিক্রি করা হয় তামাকচুল্লি ও ইটভাটায়

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা, আলীকদম, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে দেদার পাচার হচ্ছে কাঠ। অশ্রেণিভুক্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও ব্যক্তিমালিকানা বাগানের গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে তামাকচুল্লি ও ইটভাটায়। কাঠ পাচার ঘিরে এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। কেউ প্রশাসনের পরোক্ষ সহায়তায় , কেউ গায়ের জোরে বন বিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাচার করছে কোটি কোটি টাকার কাঠ-লাকড়ি। ফলে উজাড় হচ্ছে পাহাড়ের বনাঞ্চল। অভিযোগ আছে, কাঠ চোরাকারবারিরা অন্যের জায়গা ভুয়া কাগজ দেখিয়ে পারমিট নিয়ে পরিকল্পিতভাবে উজাড় করছে বনের কাঠ। কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, কোনোভাবে পারমিট বা নিলামের টিকিট পেলেই তা দেখিয়ে চলে কয়েক দফা কাঠ পাচার। পারমিট ২ হাজার ফুটের হলেও নিয়ে যাচ্ছে ২০ হাজার ফুট। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যে জায়গার নামে পারমিট করা হয় সেখানে নেই গাছ। এক জায়গার পারমিট অথচ গাছ সংগ্রহ করা হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি রাতে হলুদিয়া-ভাগ্যেরকুল, ড়োয়ালিয়া খোলাসহ আশপাশ এলাকা থেকে লামার রূপসীপাড়া-লামা সড়ক হয়ে শত শত গাড়ি দিয়ে লাকড়ি-গাছ পাচার হচ্ছে। কাঠবোঝাই গাড়ির শব্দে সড়কের পাশের এলাকার মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ও ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অন্যদিকে, জেলা সদরের সাঙ্গু নদ ও লামার মাতামুহুরী নদীপথে প্রতিদিন শতাধিক নৌকায় পাচার হয় গাছ। একাধিক বনবিট অফিসার জানান, কাঠ পাচারের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাতের বিষয়টিও সঠিক নয় বলে দাবি তাদের। নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে গত মঙ্গলবারও জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ; যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৯ লাখ টাকা। বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন খবরে বাঁকখালী নদীতে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি-১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত মঙ্গলবার জব্দ করা কাঠগুলো বন বিভাগের স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাঠ পাচার, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে জোন এলাকায় বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর