শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

গরুর ‘আবাসিক হোটেল’

নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

গরুর ‘আবাসিক হোটেল’

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গড়ে উঠেছে গরুর ‘আবাসিক হোটেল’। দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এখানে গরু রেখে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আর এই ‘হোটেল ব্যবসা’ করে সংসার চালাচ্ছে ভূঞাপুরের তিন শতাধিক পরিবার।

জানা যায়, যমুনা নদীতীরবর্তী ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী গরুর হাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পশুর আড়াই শতাধিক আবাসিক হোটেল। শুধু কোরবানির ঈদের সময়ই নয়, সারা বছরই এখানে পশু রাখার ব্যবস্থা। এ হোটেলগুলোর জন্যই এ অঞ্চলের বিভিন্ন হাটে নিরাপদে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বেচাকেনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই হোটেলে গরু রেখে ব্যবসা করতে পেরে ব্যবসায়ীরাও খুশি। প্রতি রাতে গরুপ্রতি ১০-১৫ টাকা ভাড়া নেন হোটেল মালিকরা। সিরাজগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী আতর আলী জানান, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাট থেকে গরু কিনে গোবিন্দাসী হাটে বিক্রি করি। দূর-দূরান্ত থেকে গরু এনে যদি বিক্রি না হয় তবে পাইকারদের গরু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। কিন্ত এখানে গরু বিক্রির একটা সুবিধা আছে। তা হলো গোবিন্দাসী হাটে গরু রাখার আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেখানে গরু হোটেলে রেখে আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। অপর ব্যবসায়ী রুস্তম আলী জানান, গোবিন্দাসী হাটে গরু বিক্রি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ব্যবসায়ী আসেন। সব গরু বিক্রি না হলে তারা বোর্ডিংয়ে (আবাসিক হোটেল) রাখতে পেরে বাড়তি খরচ থেকে বেঁচে যান। গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাটের কিছু সমস্যা আছে—এগুলো সমাধান করতে পারলে ব্যবসায়ীরা আরও ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। হোটেল মালিকরাও তাদের ব্যবসা করে লাভবান হবেন। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার জানান, গোবিন্দাসী গরুর হাটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এখানে ব্যবসায়ীরা গরু কেনাবেচা করে স্বাচ্ছন্ধ্যবোধ করেন। কোরবানির ঈদের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর