শিরোনাম
রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রক্তচক্ষু দেখিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ঠেকানো যাবে না

সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রতিদিনি ডেস্ক

খালেদা জিয়ার মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কারাগারে আদালত স্থানান্তরের প্রতিবাদে গতকাল সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। রক্তচক্ষু দেখিয়ে তার মুক্তি ঠেকানো যাবে না।’ নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর—

রাজশাহী : মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের দিন থেকে শেখ হাসিনার জেলে যাওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, শফিকুল হক মিলন। খুলনা : ‘আওয়ামী লীগের যারা দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করছে বিএনপি।’ খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী। রংপুর : নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রইচ আহমেদ, সাহিদা রহমান জ্যোত্স্না, কাওছার জামান বাবলা। বক্তারা বলেন, উন্মুক্ত আদালতে খালেদার মামলার বিচার শুরু করা না হলে রংপুর থেকেই কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। লক্ষ্মীপুর : শহরের গোডাউন রোডে আবুল খায়ের ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। বক্তব্য রাখেন সিরাজুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া। এ্যানি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র সুসংহত ও টিকিয়ে রাখতে চাইলে আপনাকে সংলাপ করতেই হবে। তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার ছিনিয়ে আনবে জনগণ। রক্তচক্ষু দেখিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ঠেকানো যাবে না।’ নরসিংদী : খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, হারুন-অর-রশিদ, আকবর হোসেন প্রমুখ। খায়রুল কবির খোকন বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে একতরফা নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ একতরফা নির্বাচন মেনে নেবে না। ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।’ টাঙ্গাইল : শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আতাউর রহমান জিন্নাহ। উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম, শফিকুর রহমান শফিক, একেএম মনিরুল হক। বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে হয়রানি ও নির্যাতন করতে সরকার অসংবিধানিকভাবে আদালত কারাগারে স্থানান্তর করেছে। বাগেরহাট : দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় পুলিশ আট নেতা-কর্মীকে আটক করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এমএ সালাম, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। বক্তারা বলেন, সরকার ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বরিশাল : অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার। বক্তব্য রাখেন জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, মনিরুজ্জামান ফারুক। এর আগে এবায়দুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে পৃথক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর রোডে বিএনপি কার্যালয় চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খাগড়াছড়ি : শহরের  কলাবাগান এলাকায় সমাবেশে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন প্রবীণ চন্দ  চাকমা, কংচাইরী মগ, আব্দুল মালেক মিন্টু প্রমুখ। সমাবেশ থেকে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলা হয়। জামালপুর : স্টেশন রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাড. ওয়ারেছ আলী মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাহিদা আক্তার রিতা, শহিদুল হক খান দুলাল, লোকমান আহমেদ লোটন। তারা খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদ করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান। ফরিদপুর : শহরের আলীপুর গোরস্তানের সামনে থেকে মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা এগিয়ে গেলে পুলিশ কেড়ে নেয় ব্যানার। এ সময় সংক্ষিপ্ত সভায় অ্যাড. আলী আশরাফ নাননু, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা বেগম খালেদার মুক্তি দাবি করে বলেন, সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে রেখেছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সব দায় সরকারের। বগুড়া : শহরের নবাব বাড়ী রোডে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভিপি সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জয়নাল আবেদীন চাঁন, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মো শোকরানা। সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক প্রহরায় ছিল পুলিশ। গাজীপুর : বিক্ষোভ শেষে শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ফজলুল হক মিলন, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল। এদিকে চান্দনা চৌরাস্তায় পৃথক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সোহরাব উদ্দিন। এছাড়া টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন।

সর্বশেষ খবর