সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ রাঙামাটিবাসী

রাঙামাটি প্রতিনিধি

বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রাঙামাটি শহরবাসী। যতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে তার বেশিরভাগ সময় থাকে লো-ভল্টেজ। এমন পরিস্থিতিতে শহরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিদ্যুতের এমন দুর্দশা দ্রুত সমাধান করা না হলে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেন জেলাবাসী।

রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাছির উদ্দীন সোহেল বলেন, ‘দিন-রাত অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। সারা মাস এমন সমস্যার পরও বিদ্যুৎ বিল কখনো কম আসে না। এর সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত।’

জানা যায়, ১৯৬০ সালে রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলায় বাঁধ দিয়ে নির্মিত হয় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি নির্মাণের ফলে রাঙামাটির প্রায় ৫৪ হাজার একর চাষযোগ্য জমি পানিতে তলিয়ে যায়। উদ্বাস্তু হন লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এ কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ শুরু থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় গ্রিডে।

স্থানীয়দের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণের শর্তে কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হলেও রাঙামাটিতে সরবরাহ দেওয়া হতো সর্বোচ্চ পাঁচ মেগাওয়াট। ফলে রাঙামাটি জেলাবাসীর বিদ্যুৎ সংকট রয়েই যায়। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বর্তমানে জেলায় বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে ১০ মেগাওয়াট। অভিযোগ আছে, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে চাহিদার অধিক বিদ্যুৎ পেয়েও অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে রাঙামাটিবাসীকে। কারণে-অকারণে লাইন সংস্কার কাজ দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয় সরবরাহ। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শফি উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৯০ মেগাওয়াট। তাই রাঙামাটি শহরে বিদ্যুৎ সংকট হওয়ার কথা না।’ রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছুটা সমস্যা ছিল। ফলে চাহিদা অনুসারে শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কোথাও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেগুলোর সংস্কার তো রয়েছেই। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি এলাকায় একটি সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেটি চালু হলে এ সমস্যা থাকবে না।

সর্বশেষ খবর