শিরোনাম
সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঋণের জালে বন্দী জেলেরা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

রায়পুর উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ী, জেলে ও দরিদ্র পরিবার ঋণের জালে বন্দী। উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার এখন এনজিও-দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। গ্রামীণ সমাজ উন্নয়নের নামে এ সব দাদন ব্যবসায়ী ও এনজিও প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের ঋণের জালে জড়িয়ে ভিটেমাটি হারাচ্ছে অনেকে। শিল্প-কলকারাখানা ও বৃহৎ কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় এ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ রিকশা-ভ্যান চালানো, মাছ ধরা, কৃষিকাজ, খুচরা মালামাল বিক্রি ইত্যাদি পেশার ওপর নির্ভরশীল। এ সব ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন না থাকায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর দ্বারস্থ হতে হয় তাদের। কিন্তু ব্যবসা মন্দা এবং বিনিয়োগ অনুযায়ী বিক্রি না থাকার কারণে দিন দিন ঋণের বোঝা চেপেই বসেছে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জেলের ওপর। এক এনজিওর কিস্তি শেষ হতে না হতেই এসে যায় অন্য এনজিওর কিস্তি। একটি সংস্থার ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে তারা অন্য সংস্থার ঋণের বেড়াজালে জড়াচ্ছে। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারলে এনজিও কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা দলবেঁধে বাড়িতে এসে টাকা আদায় করে। অনেকে ভয়ভীতিও দেখায়। কেউ কেউ ঋণ শোধ করতে না পেরে ভিটেমাটি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এলাকা ছেড়েছেন। চরভৈরবী এলাকার সেলিম বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ না পেয়ে একটি এনজিও থেকে টাকা নিই। ওই টাকা দিয়ে মাছ ধরার জন্য নৌকা তৈরি করি। কিন্তুু মেঘনা নদীতে আগের মতো মাছ না পড়ায় ঋণের বিপরীতে সুদের টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না। একই অভিযোগ করেন ওই এলাকার আরও কয়েক জেলে। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। বেচাকেনা কম হওয়ায় ঋণের সুদ দিতে না পারায় আমাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর