সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
চার বছর ধরে সেতু ভাঙা

বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন নারী-শিশু-শিক্ষার্থী —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান-পূর্বডামুড্যা ইউনিয়নের রায়পুর এলাকায় বড় খালের ওপরের সেতুটি চার বছর ধরে ভাঙা-জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘ দিনেও সেতুটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় পাশে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন কয়েক ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। বাধ্য হয়ে তারা নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করেছেন। এ সাঁকো দিয়ে লোকজন কোনোভাবে পারাপার করতে পারলেও এলাকায় উৎপাদিত সবজি নিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই চাষিদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু কালাম, দিদার বেপারী জানান, ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা বলেন, ‘ব্রিজটি কয়েক বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। মাঝেমধ্যে সাঁকো ভাঙা থাকলে তাদের প্রায় সাত কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। হাফসা, নুরুন নাহার, মুনতাসিরসহ কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, বাঁশের সাঁকো দিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। অনেক সময় আমাদের ভয় লাগে। আর বৃষ্টির সময় সাঁকোর বাঁশ পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় তখন পার হতে খুব কষ্ট হয়।স্থানীয় দারুল আমান ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন খান বলেন, ‘ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী  হাসান ইবনে মিজান বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিজটির টেন্ডার হয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর