মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সমস্যাসংকুল সান্তাহার রেলওয়ে জংশন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

সমস্যাসংকুল সান্তাহার রেলওয়ে জংশন

বাংলাদেশে রেলওয়ের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন স্টেশন আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশন। জনবল স্বল্পতা, সীমানাপ্রাচীর না থাকা, পানির সংকট, অবকাঠামোগত নানা সমস্যার কারণে স্টেশনটি ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। সান্তাহার স্টেশন মাস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, এই স্টেশনটি হয়ে প্রতিদিন ৩০টি আন্তঃনগর, মেইল, সাধারণ ট্রেন চলাচল করে। প্রয়োজনের তুলনায় এখানে জনবল খুবই কম। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহকারী স্টেশন মাস্টারের ১৩টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন আটজন। অনেক সময় পোটার দিয়ে মাস্টারদের কাজ করাতে হয়। জামাদারের চার পদের বিপরীতে একজন, পয়েন্টস ম্যানের ৯ জনের স্থলে আছেন আটজন। গেটকিপারের ছয়টি পদের মধ্যে একজন স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। বাকিরা চুক্তিভিত্তিক। স্টেশনটির মোট মঞ্জুরি পদ ৫৯টি কিন্তু কর্মরত আছেন ২৬ জন। প্রথম শ্রেণি পুরুষ ও মহিলা বিশ্রামাগারে দুজন আয়া থাকার কথা থাকলেও দুটি পদই শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারেও আয়া নেই। বিশ্রামাগারে আসন সংখ্যাও অপ্রতুল। প্রথম শ্রেণির এই স্টেশনটিতে যাত্রীদের জন্য ভালো কোনো খাবারের হোটেল নেই। স্টেশনটিতে বেড়েছে গরু-ছাগলের আনাগোনা। তাছাড়া প্লাটফর্ম খনাখন্দে ভরা। সান্তাহার জংশন স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, সীমানাপ্রাচীর না থাকায় স্টেশনটি কাঙ্ক্ষিত আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর জনবল সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।  উল্লেখ্য, ১৮৭৮ সালে নির্মিত এই জংশন স্টেশনটি শুধু ব্রডগেজ লাইনে চলাচলের সময় শুধু ’সান্তাহার স্টেশন’ নামে পরিচিত ছিল। অবিভক্ত ভারতের উত্তরবঙ্গ ও আসাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে সান্তাহারকে সংযুক্ত করে পূর্বদিকে আরও একটি মিটারগেজ লাইন নির্মাণ করা হয় ১৯০০ সালে। তখন থেকেই সান্তাহার স্টেশনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে পরিণত হয়। ত্রিমুখী রেলের সংযোগস্থল এবং দুই জেলার সীমান্তে অবস্থিত এই স্টেশনটি নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর