বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নানা সীমাবদ্ধতার পরও বেড়েছে উৎপাদন-বিক্রি

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

পাথর ডেলিভারির সীমাবদ্ধতাসহ নানা সীমাবদ্ধতার পরও দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে দিন দিন বাড়ছে পাথর উৎপাদন ও বিক্রি। গত সেপ্টেম্বর মাসেই রেকর্ড প্রায় ২০ কোটি টাকার পাথর বিক্রি হয়েছে। এতে আশার আলো দেখছেন সংশ্লিরা। এভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি বিক্রি বাড়ায় শিগগিরই মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন খনির জিএম (অপারেশন) আবু তালেব মো. ফরাজী।  জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে পাথর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ২০০ মেট্রিকটন। এ সময়ে বিক্রি হয়েছে ৯৮ হাজার ৬৬০ মেট্রিকটন পাথর। খনির ইয়ার্ডে বিভিন্ন সাইজের পাথর মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিকটন। বর্তমানে দৈনিক গড়ে পাথর উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিকটন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি) নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী বলেন, অর্ধশতাধিক বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলীসহ প্রায় ৭৫০ শ্রমিক খনিতে কাজ করছেন। জিএম আবু তালেব মো. ফরাজী জানান, সেপ্টেম্বর মাসে বিক্রি হওয়া পাথরের মূল্য ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। ডেলিভারির সীমাদ্ধতা না থাকলে  আরও বিক্রি বাড়তো। এছাড়া নিয়ম মেনেই গাড়ির লোড দেওয়া হয়। ছয় চাকার ট্রাকে ট্রাকসহ পাথর ২২ মেট্রিকটন এবং ১০ চাকার ট্রাকে নিতে পারবে ৩২ মেট্রিকটন। কিন্তু বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ট্রাকে ওভারলোডে পাথর আমদানি করা হচ্ছে। অথচ সেতু বিভাগ গত এপ্রিল থেকে ওভারলোডিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা চুক্তি হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে। খনির দায়িত্বগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদন শুরুর ছয় মাস পর খনিতে দৈনিক তিন শিফট চালু করে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার মোট্রকটন পাথর উৎপাদন করছে। বিশ্বমানের ও অত্যাধুনিক মেশিনারিজ আমদানির পর জিটিসি খনির উন্নয়ন উৎপাদন কাজ চালাতে থাকে সমান তালে। ফলে দিনে দিনে উৎপাদন বাড়তে থাকে। এ খনি থেকে ৪৮ বছর পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যাবে।

সর্বশেষ খবর