সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঘুষ দাবিতে নির্যাতন, মামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঘুষ দাবিতে ইউপি সদস্যকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার লেশপ্রতাপ গ্রামের নিহত ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মন্টুর স্ত্রী আদালতে মামলাটি করেন। এসআই ছাড়া আসামি করা হয়েছে আরও সাতজনকে। অন্য আসামিরা হলেন— সদর উপজেলার বারইগাতি গ্রামের আব্বাস, ইছাহাক, সামসুল হক, ইয়াসিন, সুলতান, আবদুর রহিম ও নূরুল হক। বিচারক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরিশালের উপ-পরিচালককে মামলাটি তদন্ত করে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঘটনার দিন ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মন্টুকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করতে গেলে সে রিকশা থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তার একটি পা ভেঙে যায়। হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাসন্ডা ইউনিয়নের লেশপ্রতাপ গ্রামের এক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজি মামলা করেন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান মন্টুর বিরুদ্ধে। মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলে এসআই দেলোয়ার হোসেন মন্টুর কাছে এক লাখ টাকা দাবি করলে ২৫ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকার জন্য তাকে চাপ দেয় এসআই। টাকা দিতে না পারায় গ্রেফতারের ভয় দেখায়। এদিকে বাদীর কাছ থেকেও বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছে—এমন খবর পেয়ে মন্টু দেলোয়ারের কাছে তার দেওয়া ২৫ হাজার টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষুব্ধ হন তিনি। মন্টুকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শহরের তরকারিপট্টির ভাড়া বাসায় দেখা করতে বলেন এসআই। মন্টু ওই বাসায় গেলে তাকে আটকে নির্যাতন করা হয়। এতে তার একটি পা ভেঙে যায় এবং মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত লাগে। পা ভাঙা অবস্থায়ই মন্টুকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলের কারা শাখায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ অক্টোবর মারা যান মন্টু। মন্টুর স্ত্রী নাজমা বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় ঘুষের টাকা নিয়েও স্বামীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।’ সন্তানদের এতিম করার জন্য এসআই দেলোয়ারের বিচার দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর