বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নিবিড় পর্যবেক্ষণে লামিয়া অবস্থার উন্নতি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

নিবিড় পর্যবেক্ষণে লামিয়া অবস্থার উন্নতি হচ্ছে

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা শিশু গৃহকর্মী লামিয়া আক্তার মারিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। এদিকে গতকাল শেরেবাংলা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) শিশু লামিয়াকে দেখতে যান মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন। এ সময় শিশু নির্যাতনকারী গৃহকর্তা আশরাফুল চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা পুলিশকে অবহিত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। উড়ো খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে নগরীর কাশীপুর মদিনা সড়কের আকাশ মঞ্জিলের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী এবং শারমিন আক্তার দম্পতির বাসা থেকে শিশু লামিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে এ সময় গৃহকর্ত্রী শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে যান তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম। গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা, দেয়ালে আছড়ানো, হাত ভেঙে ফেলা, চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টাসহ নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে ওই রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইউনুস আলী ফরাজী বাদী হয়ে নগরীর বিমানবন্দর থানায় মানব পাচার ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর নোয়াপাড়া গ্রামের রিকশাচালক মো. ইকবাল সরদারের ৯ বছর বয়সের শিশুকন্যা লামিয়া আক্তার ছয় মাস আগে আশরাফুল-শারমিন দম্পতির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। কাজে যোগ দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই লামিয়াকে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন ওই দম্পতি।

সর্বশেষ খবর