বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

১ বছরে ৯৯ শুল্ক ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন ২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

বেনাপোল স্থলবন্দর

বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করলেও পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে অর্থবছরে প্রায় পঁচিশ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। সরকার প্রতি অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার  রাজস্ব আদায় করে থাকে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের কলকাতা বন্দর কাছাকাছি হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এ বন্দর বেশি ব্যবহার করেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেনাপোল বন্দরে গড়ে উঠেছে শুল্ক ফাঁকি চক্র। বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর কর্মদক্ষতার ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ক্রমেই কমতে শুরু করেছে বলে মনে করেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক দফতর সম্পাদক বকুল মাহবুব।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে ৯৯টি শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। যা থেকে সরকার অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করেছে ২১ কোটি ৭০ লাখ ৯ হাজার ১২৫ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছিল ১১৪টি, শুল্ক আদায় করা হয় ৩১ কোটি ৯৮ লাখ চার হাজার ৩৯৪ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছিল ১৮১টি, যা থেকে সরকার শুল্ক আদায় করেছিল ১৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার ১৯৩ টাকা। বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক নিপুণ চাকমা বলেন, বেনাপোল বন্দরে যাতে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা না ঘটে সে জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।  যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির পক্ষে আমরা নই। তবে এসব ঘটনায় অবশ্যই কাস্টমস ও বন্দরের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কেননা এই দুই সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে শুল্ক ফাঁকি হতে পারে না। শুল্ক ফাঁকি রোধে কাস্টমসকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, শুল্ক ফাঁকির বেশ কিছু পণ্য চালান আমরা আটক করে মামলা দিয়েছি। এ সবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর