শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মেঘনায় হারিয়ে যাচ্ছে বসতি-ফসলি জমি

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

রায়পুরে মেঘনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি। মেঘনা ভাঙনে সব হারিয়ে পথে বসেছে অনেক পরিবার। ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে ৩০০ বসতবাড়ি, ২০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তিনটি প্রাথমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুল, দুইটি মসজিদসহ বেশকিছু মাছের আড়ত। মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে সম্প্রতি পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী নদীর তীরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। পাউবো বলছে, দুই বছর আগে ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে নোটশিট পাঠালেও এখনও তা অনুমোদন  দেওয়া হয়নি। এ কারণে তাদেরও অসহায় হয়ে ভাঙন দেখা ছাড়া কিছু করার নেই।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, পাঁচ বছর ধরে ভাঙছে মেঘনা নদী। দীর্ঘ এ সময়ে মোল্লার হাট, পানিরঘাট, স্লুইসগেট এলাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান ঘাট এলাকা, হায়দরগঞ্জ সাইজ উদ্দিন মোল্লার ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার এলাকার সহস্রাধিক বসতভিটা ও কয়েকশ হেক্টর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও অব্যাহত রয়েছে ভাঙন। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকে। রাতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদী-তীরবর্তী মানুষ। দক্ষিণ চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজী জানান, ভাঙনের ভয়াবহতা এতো বেশি যে প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়ি অথবা স্থাপনা নদীতে চলে যাচ্ছে। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েও ফল না পেয়ে আমরা হতাশ। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, দুই বছর আগে পানিসমপদ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন। এরপরই কারিগরি কমিটি স্থান পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কিন্তু সেটি অনুমোদন হয়নি। অনুমোদনের পর প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হবে। পাস হলেই নির্মাণ করা হবে স্থায়ী রক্ষাবাঁধ। এটি সময়সাপেক্ষে ব্যাপার। এ কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের ভয়াবহ ভাঙন থেকে জনপদ রক্ষায় এক মাস আগে জরুরি বরাদ্দ চেয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বোর্ড থেকে অনুমোদন হয়নি।

সর্বশেষ খবর