সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

এক্স-রে মেশিন বিকল অচল অ্যাম্বুলেন্স

শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব আর অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে আছে এক্স-রে মেশিন। একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটিও অচল। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা রোগীর খাবার নিয়েও। জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। শেরপুর পৌর শহরসহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ এখানে সেবা নিতে আসেন। ৫০ শয্যার সরকারি এই হাসপাতালে ৩১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এখানে মাত্র তিনজন ডাক্তার কর্মরত রয়েছেন। বহিবির্ভাগে ২০০-৩০০ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় অনেকে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক ওয়ার্ডবয় ও কর্মকর্তারা জানান, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে আছে। গরিব-অসহায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেনারেটরটিও নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি নানা অজুহাতে বন্ধ রেখে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, স্বল্পসংখ্যক ডাক্তার নিয়ে তাদের প্রতিদিন শত শত রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। হাসপাতালে কোনো অনিয়ম করা হয় না—এমন দাবি করেন তিনি।  বগুড়া সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক জানান, শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সম্প্রতি ৩১ থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতাল করার অনুমতি পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া যায়নি। যেহেতু হাসপাতালের ৫০ শয্যায় উন্নতীকরণ করা হয়েছে এ কারণে নতুন এক্সে-রে মেশিন, অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে। সে বিষয়ে যোগাযোগ চলছে।

সর্বশেষ খবর