মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফরিদপুরের গ্রামে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের চৌহাট্টা গ্রামে একটি বাড়িতে দুর্বৃত্তরা গতকাল হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। দুর্বৃত্তরা সকাল ১০টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ওই বাড়ির তিনটি ঘর ও ঠাকুরঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় এবং মালপত্র লুট করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৭০ সালের ১৫ মার্চ সতীশ চন্দ্র রায় ৫৫ শতাংশ জমি নিমাই চন্দ্র দাসের স্ত্রী লক্ষ্মী রানী দাসের কাছে বিক্রি করে ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে লক্ষ্মী রানী ও তার পরিবারের সদস্যরা সেই জমিতে বসবাস করে আসছিলেন। লক্ষ্মী রানী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে খোকন দাস ও তার ভাই পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। কয়েক বছর আগে মজিবর রহমান নামের এক ব্যক্তি জায়গাটির মালিকানা দাবিতে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন। এ অবস্থায় জায়গা থেকে চলে যেতে একাধিক বার হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে থানায় জিডিও করা হয়। খোকন দাস বলেন, আদালতে মামলাটি চলমান থাকলেও মজিবরের নির্দেশে মমিন খাঁ, নাজমুল ইসলাম ও বিল্লাল শেখসহ কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করে। তারা ট্রাকে করে কিছু মালামাল নিয়ে যায়। হামলাকারীদের বাধা দিলে তারা বাড়ির মহিলাদের লাঞ্ছিত করে। হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা চলে যেতে বাধ্য হয়।

খোকন দাসের স্ত্রী বর্ষা রানী দাস বলেন, আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে কিছু মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। হামলাকারীদের বাধা দিলে তারা আমাদের লাঞ্ছিত করে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে সেখানে এমন অবস্থা করেছে যে, এখন কেউ দেখলে মনে হবে এখানে কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে মজিবরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার এক নিকটাত্মীয় জানান, জমিটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে। শালিসে খোকন দাস টাকা নিয়ে জমিটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি জমিটি ছেড়ে চলে যাননি। হামলার ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে তা তিনি বলতে অস্বীকার করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, এ বিষয়ে জিডি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর