সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভেঙে পড়া সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ভেঙে পড়া সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

এক মাস ধরে বাগেরহাটের এই সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাগেরহাট সদর উপজেলার সায়েড়া-লক্ষ্মীখালী সড়কের একটি তুটি এক মাস ধরে ভাঙা। লক্ষ্মীখালী নদীর উপর এলজিইডির নির্মিত এই সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের আট গ্রামের মানুষ। পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু দিয়েই চলাচল করছেন তারা। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।  সরোজমিনে দেখা যায়, ভাঙা সেতুটির দুই পাশে রয়েছে পূর্ব সায়েড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সায়েড়া মধুদিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, ধোপাবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাকশ্রি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আল মদিনা কিন্ডার গার্টেন। এ সব প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার হচ্ছে। ভুক্তরভাগী আট গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। আগে তারা সেতুটি ব্যবহার করে সদর উপজেলার বারাকপুর, রামপালের চাকশ্রি ও ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা বাজারে মাছ বেচাকেনার জন্য সহজে যাতায়াত করতেন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর তাদের এখন ১০ কিলোমিটার ঘুরে এ সব বাজারে যেতে হচ্ছে। ভাঙা সেতু পার হতে গিয়ে আহত স্কুলছাত্র তামিমের মা বলেন, ‘আমার ছেলে পূর্ব সায়েড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। কয়েক দিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে সেতু থেকে নদীতে পড়ে রডে লেগে পা কেটে যায় এবং মাথায় আঘাত পায়। তার সাতটি সেলাই লেগেছে।’ পূর্ব সায়েড়া গ্রামের ব্রাককর্মী আকলিমা জানান, কজের জন্য প্রতিদিন আমাকে পশ্চিম সায়েড়া গ্রামে যেতে হয়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। মাছ চাষী সিদ্দিক আলী বলেন, ‘প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে মাছ নিয়ে বিভিন্ন বাজারে যেতে হচ্ছে। ফলে অর্থিক ড়্গতির পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় লাগছে।’ বাগেরহাট এলজিইডির কর্মকর্তারা জানান, সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপড়্গের কাছে প্রকল্প প্রসত্মাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই টেন্ডার আহবান করা হবে।

সর্বশেষ খবর