মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আত্মসমর্পণ-অভিযানের পরও সাগরে কমছে না দস্যুতা

কক্সবাজার ১০ জলদস্যু আটক অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

আত্মসমর্পণ ও অব্যাহত অভিযানের পরও কমছে না কক্সবাজারের সাগরে দস্যুতা। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়ছেন জেলেরা। সবশেষ রবিবার রাতে দুটি ফিশিং ট্রলারের মাছ-জালসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায় দস্যুরা। এ সময় অপহরণ করা হয় তিন জেলেকে। ঘটনার পর গতকাল সকালে মহেশখালীর সোনাদিয়ার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় জেলেদের সহায়তায় ১০ জলদস্যুকে গ্রেফতার করে ও অপহৃত তিন জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন র‌্যাব সদস্যরা। জব্দ করা হয় ছয়টি অস্ত্র ও ৩৭ রাউন্ড গুলি। গ্রেফতার হওয়া জলদস্যুরা মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার তিনটি বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

আটকরা হলেন— মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার আব্দুল গফুর, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ তারেক, আবুল হোসেন, ছৈয়দুল ইসলাম, জুয়েল, নুরুল হক, কুতুবদিয়া উপজেলার করিম, তাহের মিয়া ও বান্দরবান জেলার সিরাজুল ইসলাম। তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান জানান, রবিবার দিবাগত রাতে গভীর সাগরে দুটি ট্রলারে করে জলদস্যুরা এসে ফিশিং বোটে লুটপাট চালায়। তারা তুলে নিয়ে জায় দুটি ফিশিং বোটের তিনজন মাঝি-মাল্লাকে। জেলেদের কাছে খবর  পেয়ে সাগরে অভিযান চালায় র‌্যাব। সোমবার সকালে একটি ট্রলার পাকড়াও করে ১০ দস্যুকে আটক করা হয়। তাদের কাছে পাওয়া যায় ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র ৩৭ রাউন্ড গুলি। এ সময় তারা আরও পাঁচটি অস্ত্র পানিতে ফেলে দেয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর একটি ট্রলারে থাকা জলদস্যুরা পালিয়ে যায়। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, সাগরে বর্তমানে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার জামাল, মাহবুব ও আহমদ বাহিনী এক সঙ্গে মিলে ডাকাতি করছে। সবাইকে আত্মসমর্পণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করলে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যথায় অভিযান জোরদার করে সবাইকে আটক করে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।  উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর মহেশখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ছয় জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন সদস্য। এ সময় স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দস্যুরা ৯৪টি অস্ত্র ও সাত হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গুলি জমা দেয়।

 

 

সর্বশেষ খবর