বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূল

ভয়াল সিডরের ১১ বছর আজ

বরগুনা ও আমতলী প্রতিনিধি

ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূল

বরগুনার তালতলীতে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ

ভয়াল সিডরের ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলীয় জনপদ। শুধু বরগুনার ছয় উপজেলায় ১ হাজার ৬০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নিখোঁজ হন দুই শতাধিক। মারা যায় অসংখ্য গবাদিপশু। বাড়িঘর, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, বেরিবাঁধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রলয়ঙ্কারী সেই ঘূর্ণিঝড়ের ১১ বছর পর আজও ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূল। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এখনো অসমাপ্ত। যে কটি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

জানা যায়, সিডরের পরপরই সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সরকারি-বেসরকারিভাবে জেলায় বেশকটি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হলে পর্যাপ্ত নয়। বড় ধরনের দুর্যোগ দেখা দিলে আবারও আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে মানুষ। ৪৫ পোল্ডারে তিন কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যার সংস্কার কাজ আজ অবধি শেষ হয়নি। ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা। আমতলী ও তালতলী উপজেলার নিদ্রা, সখিনা, আশারচর, জয়ালভাঙ্গা ও ফকির হাট এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লক্ষাধিক মানুষ। এখানে এখনো কোনো সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়নি। তালতলী তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের শাহ জালাল ও জসিম মিয়া জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। গত ১১ বছর ধরে হুমকির মুখে এ এলাকার মানুষ বসবাস করছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, তেঁতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এ বছর নির্মাণ করা হবে।

এদিকে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী সাপলেজা ইউনিয়নের ক্ষেতাছিড়া গ্রামের বেড়িবাঁধ আজও সংস্কার হয়নি। সিডরে ক্ষেতাছিড়া বেড়িবাঁধ ভেঙে সাপলেজা ইউনিয়নে ৮৬ জন লোকের প্রাণহানি ঘটেছিল। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলে আঘাত হানলেও পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেনি এ অঞ্চলে। ক্ষেতাছিড়া গ্রামের জেলে পল্লীবাসী অবিলম্বে বেড়িবাঁধ সংস্কার ও পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রের দাবি জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর