মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইজতেমা মাঠে হামলায় নারায়ণগঞ্জের ১১২০ জন আহত, নিখোঁজ ৫

সংবাদ সম্মেলনে দাবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ইজতেমা মাঠে হামলায় নারায়ণগঞ্জের ১১২০ জন আহত, নিখোঁজ ৫

মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভে অংশ নেন আলেম-ওলামারা

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ সাথী, ওলামা ও মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর সা’দপন্থিদের হামলার প্রতিবাদে তৌহিদী জনতার ব্যানারে গতকাল নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশের একপর্যায়ে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় বলা হয়, ইজতেমা ময়দানে হামলায় নারায়ণগঞ্জেরই এক হাজার ১২০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ২৪০ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ আছেন পাঁচজন। সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন। জানা যায়, ইজতেমা ময়দানে আহত শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা সোমবার বেলা ১১টা থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করেন, ‘সা’দ ইদানীং ইসলাম বিদ্বেষী অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা মূলধারা তাবলিগপন্থিরা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করছি তিনি তা মানতে নারাজ। ইজতেমা ময়দানে বেছে বেছে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সা’দ পক্ষ কোনোদিন যেন কোনোভাবে বাংলাদেশে অবস্থান নিতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ : নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানান, বরিশাল নগরীর সদর রোডে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা হামলার মূল হোতা ওয়াসিম, নাসিমসহ সাদ পন্থীদের অবিলম্বে গ্রেফতার, সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম সারা দেশে নিষিদ্ধ করার দাবী জানান। বগুড়ায় জেলা তাবলীগ জামাত (আলমী শুরা) এবং ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলে— টঙ্গী ময়দানে হামলায় গোটা আলেম সমাজ তথা সারা মুসলিম উম্মা হতবাক ও মর্মাহত। ওই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।  যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মারকাযের শুরা সদস্য ও কওমি উলামায়ে কেরাম পরিষদ। পরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১ ডিসেম্বর তাবলিগ সাথি ও ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা তিন দিনের জামাতে মাঠে কর্মরত ছিল। এ সময় নিজামুদ্দিনের সাদপন্থীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। গাজীপুরে মিছিল ও সমাবেশ শেষে জেলা প্রসাশকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। সবাবেশে হামলা, ভাংচুরে জড়িতদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, হতাতদের ক্ষতিপুরণ, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, পূর্ব ঘোষিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। মুন্সিগঞ্জে  মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।

সর্বশেষ খবর