শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কেমিক্যালমুক্ত সবজি পতিত জমিতে

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পতিত ফাঁকা জমিতে কয়েক বছর ধরে কেমিক্যালমুক্ত সবজি চাষ করছে ‘ইদ্রিস গ্রুপ’। তাদের উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। ইদ্রিস গ্রুপ-শেরপুরের সবচেয়ে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। ভারী শিল্পের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এখন কাঠ, মত্স্য, মাংস, দুধ, সবজি উৎপাদনে অনন্য হয়ে উঠছে। সবজি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরা জানান, মালিকের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য পতিত ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষ করছেন তারা। প্রতিষ্ঠানের এক শতক জমিও যাতে বিনাউৎপাদনে পড়ে না থাকে এটাই তাদের লক্ষ্য। তাছাড়া এ সব সবজি হতে হবে ক্যামিক্যালমুক্ত। নিজস্ব খামারের গরুর গোবর, পুকুরের কচুরিপানা, খৈল মিলেয়ে তৈরি জৈব সার দিয়েই তৈরি করা হয় সবজির জমি। সবজি উৎপাদনকালেও ব্যবহার করা হয় জৈবসার। প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারিও এই সবজি কম দামে কিনে নেন। এর বাইরে সারা বছর বাজারেও এ প্রতিষ্ঠানের সবজি বিক্রি হয়। শ্রমিকরা বলেন— ‘ইদ্রিস কোম্পানির সবজি মানেই বাজারে মূল্য কম চাহিদা বেশি’। সব মৌসুমি সবজিই এখানে আগাম চাষ হয়। শীতকালীন সবজি ছাড়াও সারা বছর এখানে বেগুন, পেঁপে, লাউ, পাটশাক, মূলাশাক, বরবটি, করলা, ঝিঙ্গা, লেবু পাওয়া যায়। অধিকাংশ সবজিই দেশীয় জাতের। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ—সবজি বিক্রি যেন বাণিজ্যিকীকরণ না হয়। বাজারের চেয়ে কমদামে সবজি বিক্রি করে কর্মচারীর বেতন-বোনাস পুষিয়ে গেলেই মালিক পক্ষ খুশি। সবজি উৎপাদন সংক্রান্ত কাজে জড়িয়ে প্রতিষ্ঠানমালিক বেশকিছু জাতীয়-স্থানীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস মিয়া জানান, নিতান্ত শখের বসেই সবজি উৎপাদন কাজে হাত দেওয়া। এখন ধীরে ধীরে ওসবে জড়িয়ে গেছি। এগুলো করতে গিয়ে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান ও সাধারণ ভোক্তার প্রতি সামান্য হলেও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি।

সর্বশেষ খবর