রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাত দিনে ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

সাত দিনে ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্প নগরীতে শ্রমিক অসন্তোষ চলছেই। সাতদিন ধরে চলা শ্রমিক অসন্তোষে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ী সংগঠনের। এ অবস্থায় রবিবারের (আজ) মধ্যে শ্রমিকরা          কাজে না ফিরলে ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্ট মালিকপক্ষ কারখানা লে অফ (বন্ধ) ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফতুল্লা বিসিক শিল্পমালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, বিষয়টি অত্যন্ত পরিতাপের। শ্রমিকরা শ্রম আইন মানছে না। কোনো ইস্যু ছাড়াই তারা কাজে যোগ দিচ্ছে না। তিনি বলেন— ‘কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে দাবি দাওয়া দেবে শ্রমিকরা। সমাধান না হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। পরে প্রচলিত শ্রম আইন মতে রায় হবে। কিন্তু শ্রমিকদের একটি পক্ষ উসকে দিয়ে বিসিক শিল্প পল্লীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে’। হাতেম জানান, বিসিক থেকে প্রতি মাসে ৫ হাজার কোটি টাকার গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি হয়। শনিবার ২০-২৫টি বৃহৎ কারখানার মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এভাবে চলতে থাকলে কারখানা লে অফ ঘোষণা ছাড়া উপায় নেই। তার দাবি, শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে শ্রম আইন মতে সবকিছু মেনে নিতে রাজি মালিকপক্ষ। কিন্তু তারা কাজে আসছে না।

সরেজমিন দেখা যায়, বিসিকের এনআর গার্মেন্ট, ফকির অ্যাপারেলস, অবন্তী গার্মেন্ট ও ক্রোনি গার্মেন্টে কাজ বন্ধ রয়েছে। কিছু কারখানায় শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিলেও দুপুরে সবাই কাজ ছেড়ে চলে যায়। ক্রোনি গার্মেন্ট মালিক আসলাম সানি বলেন, ‘তিনি শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি রেট দেন। এরপরও এক শ্রমিক নেতার ইন্ধনে শ্রমিকরা দুুপুর ১২টায় কাজ ছেড়ে চলে গেছে। তাদের ক্ষতির দায়ভার কে নেবে?’ এনআর গার্মেন্ট মালিক মোখলেছুর রহমান জানান, গুজব সৃষ্টি করে একটি চক্র শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। এভাবে চলতে থাকলে গার্মেন্ট বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। ফকির অ্যাপারেলসের মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শ্রম আইন মতে শ্রমিকদের সব দাবি মানার পরও একটি চক্র আমাদের শিল্প ধ্বংসে চক্রান্ত করছে।’

প্রসঙ্গত গত ৩ ডিসেম্বর ফকির অ্যাপারেলসে চায়না মেশিনের মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে। ওই দিনই মালিকপক্ষ বিষয়টি মেনে নেয়। পরদিন শ্রমিকরা ফের নানা দাবি তুলে। ৫ ডিসেম্বর শ্রমিক বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

সর্বশেষ খবর