সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নির্বাচনী হাওয়া সারা দেশে

বান্দরবানে জেএসএসের অবস্থান নিয়ে কৌতূহল

কবির হোসেন সিদ্দিকী, বান্দরবান

বান্দরবানে জেএসএসের অবস্থান নিয়ে কৌতূহল

বান্দরবান ৩০০ নং আসনে ভোটের রাজনীতিতে তৃতীয় অবস্থানে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রার্থী দেয়নি সংগঠনটি। তবে আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে জিততে হলে এই আসনে জেএসএসের সমর্থন প্রয়োজন। তবে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে কৌতূহল। আওয়ামী লীগের দাবী জেএসএস তাদের সঙ্গে আছে আবার বিএনপি প্রার্থীর দাবি তাদের সমর্থন দিয়েছে জেএসএস। তবে বিষয়টির আনুষ্ঠানিক  কোনো ঘোষণা দেয়নি জেএসএস।

বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা মং প্র অপহরণের জন্য জেএসএসকে দায়ী করা হয়। জেএসএস নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের করা অপহরণ মামলায় ঘরছাড়া ছিলেন জেএসএসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। ফলে বিগত উপজেলা নির্বাচনে জেএসএস বিএনপির প্রার্থীদের ও বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যাকে সমর্থন করে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জলি মং মার্মা বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে কাকে সমর্থন দেব সেটা কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করছে।

জানা গেছে, বান্দরবানের প্রতিটি নির্বাচনে জেএসএসের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগবিরোধী যেকোনো শক্তিকে দলটি সমর্থন দিতে পারে। এমন মত স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এক সময়ের রাজনীতির ঘনিষ্ঠ মিত্র পার্বত্য জনসংহতি সমিতির বিরোধিতা করলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে কিছুটা কঠিন হবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেকরা। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির প্রার্থী সাচিং প্রু জেরী বলেন জেএসএসের সঙ্গে এখনো কোনো ধরনের আলাপ হয়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান আসনে জেএসএস কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন জেএসএস কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবান জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে তারা দলীয় সমর্থনের ব্যাপারে ঘোষণা দিতে পারেন। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি জেএসএস আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেবে।

সর্বশেষ খবর