সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘নির্বাচনী ব্যস্ততায়’ বেড়েছে ডাকাতি

সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটসহ সারা দেশে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে। আর এই সুযোগে বেড়েছে ডাকাতের উপদ্রব। দিনদুপুর কিংবা সন্ধ্যা রাতেই তারা টার্গেটকৃত বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট করছে। দুই দিনের ব্যবধানে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সিলেটজুড়ে বিরাজ করছে ‘ডাকাত আতঙ্ক’। নগরীর খাসদবীর এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন্ধন জি-১৫ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাসা থেকে সোনার গয়না, নগদ টাকা এবং তিনটি মোবাইল নিয়ে যায় ডাকাতরা। এদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন, কুচাইয়ের মীরাবাড়ী এলাকার সৈয়দ শিপন আলম সোবলার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির আরেকটি ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাসা থেকে ৫০ ভরি সোনার গয়না, নগদ ৫ লাখ টাকা, ৫ শতাধিক পাউন্ড এবং ৫টি আইফোনসহ ৬০ লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাতরা।

তবে এ ঘটনায় শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে একটি আইফোনসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। এর আগে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর বোরহানবাগ এলাকায় আবদুল কাদিরের ছেলে সজল (৩৩) ও নগরীর শিবগঞ্জ সোনারপাড়া এলাকার নবারন ৩৫৫ নম্বর বাসার রহমান মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ (২৩) নামে দুই ‘ডাকাতকে’ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছোরা উদ্ধার করা হয়। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে এমন ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কে আছে নগরবাসী। পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে বসানো হয়েছে বিশেষ পাহারা। ডাকাতির শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাকাতদের লক্ষ্য থাকে বাসার পুরুষ মানুষদের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে বাকিদের হাত-পা-মুখ রশি বা কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা। পুরুষদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেললে ভয়ে নারীরা চিৎকার করে না।

ফলে নির্বিঘেœ ডাকাতরা মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবদুল ওয়াহাব জানান, নির্বাচন নিয়ে পুলিশের ব্যস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডাকাতরা দুই-একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর