শনিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছেলের মুক্তি নয়, টাকা ফেরত চায় প্রতিবন্ধী পরিবার!

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

ছেলের মুক্তি নয়, প্রতিবন্ধী মেয়ের ভিক্ষা আর ১৫ বছরের জমানো পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত চেয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বকুলতলা এলাকার বিধবা হালিমা আক্তার। হালিমা আক্তারের অভিযোগ শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শওকত আলী গাঁজা বিক্রির অভিযোগে ২৫ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে তার বাড়িতে ছেলের ঘরে ঢুকে ছেলে আবু হানিফাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর (হালিমা) ঘরে ঢুকে গাঁজা থাকার কথা বলে ঘরে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে এসআই জোরপূর্বক ওয়্যারড্রোব-এর চাবি নিয়ে নেয়। পরে ওয়্যারড্রোব-এর ড্রয়ার খুলে ভাঁজে ভাঁজে রাখা পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটে নেয়। পরে এ সংক্রান্ত মামলায় জব্দ টাকার পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৮০ টাকা। হালিমা আক্তার গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বকুলতলা এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহানের স্ত্রী। তিনি দুই যুগ ধরে ওই এলাকায় অপরের জমিতে (সুর্যার ভিটায়) মেয়ে শেফালী আক্তার, হেলেনা ও নাতিন খাদিজাকে নিয়ে বসবাস করছেন। হালিমা জানান, বিভিন্ন সময় কোরবানী ঈদে গরু বিক্রির টাকা ১ লাখ ৮০ হাজার, কন্যা শেফালীর প্রতিবন্ধী ভাতা ও চেয়ে চিন্তে আনা ১ লাখ ২০ হাজার, অপর কন্যা নারী শ্রমিক রেহেনার সাত বছরে জমানো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বাবাহারা পোশাক শ্রমিক নাতিন খাদিজা আক্তারের ৫০ হাজার এবং আরো ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন। হালিমা আরও জানান, তার ছেলে হানিফা আটকের পর পুলিশের কাছে এর শাস্তি দাবী ও টাকাগুলো ফেরত দিয়ে যাওয়ার দাবী করেছিলেন। হালিমা আক্তার জানান, তার ছেলে গ্রেপ্তারের দু’দিন পর পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে এক লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে এসেছিল। কিন্তু তিনি সব টাকা ফেরত চান। তিনি দাবী করেন মাদকের সাথে জড়িত ছেলের বিচার হোক। কিন্তু আমার জমানো টাকা পুলিশ নিবে কেন? অভিযুক্ত এসআই মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, হালিমার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এসআই শওকতকে বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে সংযুক্ত করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

সর্বশেষ খবর