শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শ্রমিক অসন্তোষ পরিকল্পিত

‘ইন্ধন দিচ্ছে একটি চক্র, উদ্দেশ্য উৎপাদন ব্যাহত করা’

রোমান চৌধুরী সুমন, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্পাঞ্চল থেকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার কোটি টাকার গার্মেন্ট পণ্য রফতানি হচ্ছে। এখানকার ক্ষুদ্র ও বৃহৎ প্রায় ২০০ গার্মেন্টে মনোরম পরিবেশে কাজ করছেন প্রায় তিন লাখ শ্রমিক। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে পরীক্ষিত এ খাতটি পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ মালিকপক্ষের। তাদের দাবি, একটি চক্র নেপথ্যে থেকে শ্রমিকের ইন্ধন দিচ্ছে। কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত করাই এ চক্রের উদ্দেশ্য। এদের সঙ্গে জড়িত হয়ে বিদেশি কয়েকটি চক্র নানা এনজিওর নাম দিয়ে বিভিন্ন সময় সৃষ্টি করছে কৃত্রিম শ্রমিক অসন্তোষ। গার্মেন্ট মালিকরা জানান, একাদশ নির্বাচনের আগে ফতুল্লা বিসিকে কয়েকটি শিল্প কারখানায় নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে বহিরাগতদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরীহ শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে বহিরাগতরা টি শার্ট ও জিন্স পরে হামলা-ভাঙচুরে অংশ নেয়। গুজব ছড়িয়ে দেয় শ্রমিকের লাশ পড়ে আছে। নির্বাচনের আগে বিসিক পল্লীতে শ্রমিক তা-বে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত ৪ দিন ধরে আবারও বিসিকে একটি শিল্প কারখানাকে টার্গেট করে শ্রমিকদের উস্কে দেওয়া হচ্ছে। অসন্তোষে জড়িতদের বেশিরভাগই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতায় যুক্ত অভিযোগে ছাঁটাইকৃত ও বহিরাগত উচ্ছৃঙ্খল যুবক। নিরীহ শ্রমিকদেরও তারা কাজে যোগ দিতে দিচ্ছে না। দেওয়া হয় হুমকি-ধমকি। ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির। অথচ শ্রম আইন মেনে সরকার ঘোষিত পে-স্কেলের চেয়ে বেশি বেতন দিচ্ছে ফতুল্লার ক্রোনি, ফকির ও অবন্তী কালার ও এন আর’র মতো বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, শ্রমিক অসন্তোষ প্রথমে একটি গার্মেন্ট থেকে পরিকল্পিতভাবে শুরু করা হয়। পরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে। এ ক্ষেত্রে কিছু তথাকথিত শ্রমিক নেতাকে অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ বিসিক শিল্পমালিক সমিতির সভাপতি মোহম্মদ হাতেম জানান, দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ সব আন্দোলনের পেছনে রয়েছে বিদেশী চক্রের হাত। আর দেশে এজেন্ডা বাস্তবায়নে আছে কিছু তথাকথিত অর্থলোভী শ্রমিক নেতা। এরা চাইছে শিল্পটাকে ধ্বংস করে দিতে। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে দেশে তা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না’। নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের এসপি জায়েদুল ইসলাম জানান, শ্রমিক আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের ছাড় নেই। এ সব নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর