সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বারান্দা-মেঝেতে শিশুর চিকিৎসা

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

বারান্দা-মেঝেতে শিশুর চিকিৎসা

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। শয্যার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ায় একই বেডে রাখা হচ্ছে তিন-চার শিশুকে। কেউ কেউ আবার মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ১৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে গত দুই দিনে ২০৪ শিশু ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আয়শা তার ডায়রিয়া আক্রান্ত ৯ মাসের মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন মেঝেতে থাকার পর গতকাল বিছানা পেয়েছেন তিনি। আয়শা বলেন, বিছানা পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আরও তিনজনকে সেখানে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তাই পালা করে শিশুদের বিছানায় ঘুমাতে হচ্ছে। বারান্দায় শিশু নিয়ে বসে থাকা সদর উপজেলার আম্বিয়া জানান, তার দুই বছর বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত শুক্রবার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। শয্যা না পেয়ে ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে ছেলের চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেই বিছানাও আবার দুজন ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হচ্ছে। আম্বিয়া বলেন, ওয়ার্ড, বারান্দা সবখানে রোগী। শোয়ার জায়গা-তো দূরের কথা, দিন-রাত বাচ্চা কোলে রেখেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার কৃষক আবদুল জব্বার জানান, গত সোমবার ছেলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার এ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখানে এসে দেখেন ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায়ও জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে বারান্দায় বিছানা পেতেছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্বে আছেন এ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ শাহজাহান নেওয়াজ। তিনি জানান, এ অঞ্চলে সন্ধ্যার পরই  কনকনে ঠান্ডা পড়ে। শিশুরা এই আবহাওয়ায় ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালে শিশুরোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ‘হাসপাতালের সব ওয়ার্ডেই প্রতিদিন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালটি কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যার হলেও ১০০ শয্যার সুবিধাও নেই’।

সর্বশেষ খবর