বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিসিকে উন্নয়নের হাতছানি

পরিকল্পনা আছে কৃষিভিত্তিক শিল্পনগরী গড়ে তোলারও, এতে কর্মসংস্থান হবে ২০ হাজার মানুষের

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে দিনাজপুরে কৃষিজাত পণ্যভিত্তিক শিল্পনগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ শিল্পনগরী গড়ে উঠলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বিশেষ ভূমিকা রাখবে কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলের কৃষকসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে। দিনাজপুরের পুলহাট বিসিকের চালু কারখানাগুলোতেও বিনিয়োগ, উৎপাদনসহ কর্মসংস্থান বেড়েছে। এই শিল্পনগরীর রাইস, ডাল, ফ্লাওয়ার, সেমাই ও সুজি মিল, আয়ুর্বেদিক, কেমিক্যাল কারখানাসহ ৫৪টি ইউনিটে সাড়ে ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উৎপাদান হয়েছে ৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার পণ্য। এ থেকে সরকার বিভিন্ন খাতে রাজস্ব পেয়েছে ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বিসিক দিনাজপুরের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী জানান, জেলার দশমাইল এলাকায় ৫০ একর জমি নিয়ে বিসিক এক্সটেনশন করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন সেটা প্রক্রিয়াধীন। এ জন্য কাহারোলের গড়নুরপুর মৌজায় চিনিকলের কান্তা ইক্ষু ফার্মের ১৯ দশমিক ৬১ এবং ব্যক্তি মালিকানার ৩০ দশমিক ৩৭ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শিল্পনগরী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, যাতায়াত ও পানির সুবিধা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণের পর সম্ভাব্য ১৮৬টি প্লট হবে। এটি হবে কৃষিজাত পণ্যভিত্তিক শিল্পনগরী। যা বেকারত্ব দূরের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও বিশেষ অবদান রাখবে। গোলাম রব্বানী আরও জানান, দিনাজপুরে বিসিক শিল্পনগরীর পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে শিল্পসহায়ক কেন্দ্র। এখানে শিল্পের রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, পণ্য আমদানি শুল্ক হ্রাসে সুপারিশ, মৌ-খামারিদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ, নতুন উদ্যোক্তা চিহ্নিতকরণ ও তাদের কারিগরিসেবা দেওয়া হয়। শিল্প নগরী এলাকার রাস্তা-ড্রেনসহ উন্নয়নমূলক কাজও করে থাকে বিসিক। উল্লেখ্য, দিনাজপুরের পুলহাটে ১৯৬২ সালে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ৩৫ দশমিক ১৪ একর আয়তনবিশিষ্ট বিসিক শিল্পনগরী বাস্তবায়ন শেষ হয় ১৯৭২ সালে। বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০৪টি প্লট।

 বর্তমানে এ শিল্প নগরীর সংশোধিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রতি একর ৭০ লাখ টাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর