শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট আটকা পড়ছে নৌযান

ফরিদপুর প্রতিনিধি

পদ্মায় নাব্য সংকট ও মাঝনদীতে জেগে ওঠা ডুবোচরে আটকা পড়ছে পণ্যবাহী নৌযান। ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট নৌ-বন্দরমুখী প্রায় অর্ধশত জাহাজ, কার্গো ও ট্রলার বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে রাখা হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। ফলে পণ্যবাহী এ সব নৌযান মালিক এবং পণ্য আমদানিকারকরা পড়েছেন বিপাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফরিদপুর নৌবন্দরে ভেড়ার জন্য পণ্যবাহী নৌযান কয়েক কিলোমিটার দূরে অপেক্ষা করছে। নদীতে পর্যাপ্ত নাব্যতা না থাকায় বন্দরে ভিড়তে পারছে না। বন্দরের পন্টুন থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে হাজিগঞ্জে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নদীতে ড্রেজিং শুরু হলেও কবে নাগাদ এতে নৌপথের নতুন চ্যানেল সৃষ্টি হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫০ টন সার নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি জাকেরের সুরায় এসে আটকা পড়েছে এমভি মুগনি-১ নামে একটি কার্গো। এই নৌযানটির চালক সাহাবউদ্দিন জানান, বন্দর পর্যন্ত পৌঁছতে হলে যে পরিমাণ পানি থাকা দরকার তা নেই বলে আর এগোনো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, নদীতে অন্তত ১০ হাত গভীর পানি থাকা প্রয়োজন, কিন্তু কোথাও কোথাও পানি আছে দুই-তিন হাত। এ অবস্থায় অরক্ষিত স্থানে পণ্যসহ কার্গো ভেড়ানোর ফলে স্টাফরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এখন পণ্য খালাসে নানা হয়রানি ছাড়াও পরিবহন খরচও বেড়ে যাবে। রবিউল ইসলাম নামে আরেকটি জাহাজের ইঞ্জিনম্যান জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাড়ে ১০ হাজার বস্তা সার নিয়ে এসেছেন। সাত দিন ধরে তিনি হাজিগঞ্জে আটকা আছেন। প্রতিদিনই তাদের মোটা অংকের টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। এখন হাজিগঞ্জ থেকে মাল খালাস করার চিন্তা করছি। ফরিদপুর চেম্বারের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণবঙ্গসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের ব্যবসায়িক পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ নৌবন্দর। প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাস পদ্মায় পানি কম থাকায় বন্দরে পণ্য খালাসে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি পদ্মার বুকে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় বন্দরমুখি জাহাজ ও কার্গো বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, বন্দরটি সচল রাখতে নৌমন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে জরিপ করেছে। আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।

বন্দরের পোর্ট অফিসার শেখ মো. সেলিম রেজা বলেন, একটি ড্রেজিং মেশিন কাজ করছে। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।

সর্বশেষ খবর