মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

৬০ কোটি টাকার ফুল নিয়ে অপেক্ষায় গদখালীর চাষিরা

টার্গেট পয়লা ফাল্গুন ভালবাসা ও শহীদ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত উৎসব, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই তিন দিবসে কাঁচা ফুলের ব্যবহার হয় সবচে বেশি। দিবসগুলোকে টার্গেট করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফুলের রাজ্য খ্যাত যশোরের গদখালীর ছয় হাজার চাষি। এ সময় কম হলেও ৬০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা তাদের। এই তিন দিবসে ফুল বিক্রির ওপরই নির্ভর করে তাদের সারা বছরের লাভ-ক্ষতির হিসাব। জানা যায়, ফুল চাষের জন্য এবার অনুকূল আবহাওয়া ছিল। এ বছর ফুলের দামও ভাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন চাষিরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির এ তিন বিশেষ দিবসে গদখালীর ফুলচাষিরা ৬০-৬৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে মোট উৎপাদিত ফুলের ৭০ ভাগই চাষ হয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, পানিসারা ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায়। এখানকার চাষিরা কয়েক রকমের রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রথস্টিক, ক্যালেনডোলাসহ ১১ রকম দেশি-বিদেশি ফুল চাষ করে থাকেন। গদখালীর ফুলচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, এবার তিনি ১৫ বিঘা জমিতে তিন প্রজাতির রজনীগন্ধ্যা, গোলাপ, জারবেরা ও গ্লাডিওলাস চাষ করেছেন। ইংরেজি নববর্ষে ফুল বিক্রি করে খুব একটা লাভ করতে পারেননি। তবে পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পাঁচ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। গদখালী ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের মোখলেসুর রহমান দুই একর জমিতে গোলাপের চাষ করেছেন। তার ফুলের উৎপাদন ভাল হয়েছে। এবার ভাল লাভ করতে পারবেন বলে তিনি জানান। যশোরের অঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক এমদাদ হোসেন জানান, এবার জেলায় ৬৩২ হেক্টর জমিতে ছয় হাজার চাষি নানা প্রকার ফুল চাষ করেছেন। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, এবার ফুলের উৎপাদন এবং দাম দুটোই ভাল। গতবার এই তিন দিবসে ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হলেও এবার ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।

সর্বশেষ খবর