বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সমস্যায় জর্জরিত বাগেরহাট বিসিক

অধিকাংশ সড়ক বেহাল, বৃষ্টি হলেই জমে পানি

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

সমস্যায় জর্জরিত বাগেরহাট বিসিক

বাগেরহাট বিসিকে খানাখন্দে ভরা সড়ক

বাগেরহাটের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নগরী (বিসিক) নানা সমস্যায় জর্জরিত। দুই দশক আগে গড়ে ওঠা এ শিল্প নগরীতে বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। দীর্ঘদিন ধরে বিসিক এলাকার অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে ভরা। পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভালো না। ফলে বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। এ সব সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ শিল্প উদ্যোক্তাদের। বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, পেলেই কাজ করা হবে। ১৯৯৬ সালে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা এলাকায় প্রায় ২০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নগরী-বিসিক। এখানে ৫০টি ইউনিটের মধ্যে ৪২টি ছোট-বড় কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। কারখানার মধ্যে আছে নারিকেল তেল মিল, অটো রাইচ, ডাল মিল। রাইচ মিল মালিক হোসেন আলী বলেন, ‘বিসিক গড়ে ওঠার পরই এখানে প্লট নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। অধিকাংশ সড়কে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। তখন বৃষ্টির পানি মিলে ঢুকে ধান চাল ভিজে যায়। এতে প্রতিবছর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে’। ন্যাচারাল ফাইভার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা রিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা যারা এখানে শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছি তারা সময়মতো ট্যাক্স পরিশোধ করছি। অথচ বিসিক শিল্প নগরীতে এখনো গড়ে উঠেনি পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। বর্ষা মৌসুমে সড়কের ওপরে পানি জমে থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো পণ্য পরিবহন করতে পারে না’। একই সমস্যার কথা জানান বাগেরহাট শক্তি ডাল মিলের স্বত্বাধিকারী স্বপন কুমার বসু। বাগেরহাট বিসিকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ম-ল বলেন, বিসিকের রাস্তাঘাটসহ নানা সমস্যা আছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন তিনি।

সর্বশেষ খবর