শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফসলি জমি নদী দখল করে ইটভাটা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

নিয়মনীতি না মেনেই কিশোরগঞ্জে গড়ে উঠছে ইটভাটা। বেশিরভাগ ভাটায় নীতিমালা শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে আইনের তোয়াক্কা করছে না তারা। আবার কিছু ইটভাটা চলছে কোনোরকম ছাড়পত্র ছাড়াই। ফসলি জমি এমনকি নদী দখল করে ইটভাটা গড়ে উঠায় পরিবেশের ওপর পড়ছে ক্ষতিকর প্রভাব। কৃষকরা ফসলি জমি দখলের প্রতিবাদ করেও ফল পাচ্ছেন না। আবার অনেক ভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

জেলা কালেক্টরেট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হিসাবে কিশোরগঞ্জ জেলায় ইটভাটা রয়েছে ১০৪টি। বাস্তবে এ সংখ্যা ১৫০-এর মতো। এগুলোর বেশিরভাগেরই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই। জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি খালেকুজ্জামান অনেক ইটভাটার ছাড়পত্র না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কোনো কোনোটির বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে’।

ইটভাটা থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুদানও দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের সহায়তায় আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। যাদের বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যাবে না এবং যেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মনে হবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর