মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুনের ঘটনায় হামলা লুট আগুন পুরুষশূন্য দুই ইউনিয়ন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর ও শিবচরে ১২ দিনের ব্যবধানে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকান্ডের জেরে ওই সব এলাকায় কয়েক দিন ধরে হামলা, পাল্টা হামলা, বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া মামলা হওয়ায় গ্রেফতারের ভয়ে দুই ইউনিয়ন এখন পুরুষশূন্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়াখ- ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের আলেমের সঙ্গে একই বাড়ির জলিলের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত রবিবার দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের ধাক্কায় আলেমের স্ত্রী সর্ব বেগম গাছের শিকড়ের উপর পড়ে আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মোয়াজ্জেম গত শনিবার রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর নেওয়ার পথে রাতেই তিনি মারা যান। মোয়াজ্জেম হত্যার জেরে পরদিন কুলপদ্মী এলাকায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। অন্যদিকে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলীর সঙ্গে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকনের বিরোধ চলছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর শহরে আসার পথে সাহেব আলীকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই দিন বিকালে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সাহেব আলী হত্যার প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো শহর। মামলার পর গ্রেফতার আতঙ্কে দুই ইউনিয়নের সহস্রাধিক পুরুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মাদারীপুর সদর থানার ওসি জানান, ‘পরিস্থিতি এখন শান্ত এবং ওই সব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কালিকাপুরের মামলায় তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর