টানা ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সাতক্ষীরা : বুধবার মধ্যরাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেড়েছে কপোতাক্ষ, চুনা, খোলপেটুয়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
গাবুরার সাবেক ইউপি সদস্য রহিম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গাবুরা নামক বেড়িবাঁধের ১০০ ফুট জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শ্যামনগরে পাউবোর ১৫ নম্বর পোল্ডারে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন জানান, জিও টিউব দিয়ে বাঁধ ফাটল রোধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
বাগেরহাট : বুধবার রাত ৯টা থেকে গতকাল পর্যন্ত দিনভর ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, মোংলা পৌর শহরসহ শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দার রাস্তাঘাটসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা ফিশিং ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে সুন্দরবনসহ উপকূলের মৎস্য বন্দরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। অবিরাম বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা, দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজার, শালতলা মোড়, সাধানার মোড়, রাহাতের মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায়।
মোরেলগঞ্জ, মোংলা পৌর শহরসহ শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দার রাস্তাঘাটসহ জেলার নিম্নাঞ্চল ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে। জেলা সদরসহ এসব পৌর ও উপজেলা সদরে ভারী বর্ষণে শহরের অধিকাংশ এলাকার বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত থাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।