কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ১০টি স্লুইসগেট প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রণ করেন অভিযোগ রয়েছে। তাদের সুবিধামতো এসব স্লুইসগেট ছাড়া ও বন্ধ রাখা হয়। এতে বাধাগ্রস্ত হয় পানি নিষ্কাশন। ভারী বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কুতুবদিয়ার কর্মকর্তা এলটন চাকমা জানান, ৯টি স্লুইসগেটের ব্যাপারে তাদের জানা থাকলেও দ্বীপের মূল ক্রসড্যামের স্লুইসগেটটি সম্পর্কে জানেন না। কক্সবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে টিম গঠন করে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। জানা যায়, কুতুবদিয়ার পাঁচটি ইউনিয়নে ১০টি স্লুইসগেট রয়েছে। এর মধ্যে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ২, বড়ঘোপ ইউনিয়নে ২, কৈয়ারবিলে ১, লেমশীখালীতে ২ ও উত্তর ধূরুং ইউনিয়নে রয়েছে ২টি। এ ৯টি স্লুইসগেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলেও লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের সীমানায় ক্রসড্যাম স্লুইসগেটটি তাদের নয়, জানায় কর্তৃপক্ষ। স্লুইসগেটগুলো লবণ পানির পরিবর্তে মিষ্টি পানির আধার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল। এগুলো বন্ধ করে প্রভাবশালীরা মাছ শিকার করছে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে দ্বীপবাসী।