দেশে চলমান পরিস্থিতিতে কয়েক দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ এবং পরে ধীরগতির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এ বন্দরে গত ১০ দিনে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। বেনাপোল বন্দর দিয়ে কিছুদিন ধরে আমদানি ও রপ্তানি যেমন কমেছে তেমনি কমেছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার। ফলে প্রতিনিয়ত রাজস্ব ঘাটতির কবলে পড়ছে বন্দরটি। বেনাপোলের আমদানিকারক মামুন বাবু জানান, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদেরও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। জরুরি কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। বেকার হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তা শাফায়াত হোসেন বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সার্ভার বিকল ছিল পাঁচ দিন। এ সময়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। পরে ইন্টারনেট সেবার ধীর গতির কারণে বন্দর থেকে যথাসময়ে পণ্য খালাশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইন্টারনেট সেবা আগের মতো হলে রাজস্ব আদায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
বেনাপোল দিয়ে আগে প্রতিদিন ভারত থেকে ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ৩০০ ট্রাক রপ্তানি হতো ভারতে।
এখন আমদানি কমে দাঁড়িয়েছে ২৫০-৩০০ ট্রাকে এবং রপ্তানি হচ্ছে ১০০ ট্রাক। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক শ্রী কমলেন্দু জানান, বাংলাদেশে গোলযোগের কারণে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে এখনো আটকা আছে ২ হাজারেরও বেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক। ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির কারণে আমার ট্রাক কাস্টমসে এন্ট্রি করতে পাঁচ ঘণ্টা লেগেছে।