ঢাকার ধামরাইয়ের ছোট কালামপুর-দেপাশাই কারাবিল এলাকায় বংশী নদীর ওপর সেতুটি ভেঙে কয়েক টন রড নিয়ে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সেখানে নতুন সেতু করার কথা বলে তিনি এ কাজ করেছেন। ২২ মাসে আগে সেতুটি ভাঙা হলেও এখনো নতুন সেতুর কাজ শুরু করা হয়নি। এতে কয়েক গ্রামের লাখো মানুষ নদী পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই কারাবিল এলাকার মধ্যবর্তী বংশী নদীর ওপর ১৫-১৬ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু দিয়ে ট্রাকসহ সব রকম যানবাহন ও কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ চলাচল করত। ওই সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৮ টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পায় মেসার্স কামারজানী-আনোয়ারা (জেভি) নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ২৪ জুন সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পর্যন্ত সেতুর কাজই শুরু করা হয়নি। প্রায় ২৩ মাস আগে পুরনো সেতুটি ভেঙে পাশেই একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ভাঙা সেতুর রড নিয়ে যায় ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বাঁশের সাঁকোটি মাঝখানে ধসে পড়েছে। এখন ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন দেপাশাই, কারাবিল, ভালুম, শৈলান, পথহারা, আলোকদিয়া, চাপিল, নওগাঁও, কালামপুর, গোয়ালদী, কাশিপুরসহ ১২-১৩টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের চলাচলের জন্য ঝুঁকিমুক্ত ভালো সেতুটি ভেঙে ফেলেছেন ঠিকাদার। এখন আমরা প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। কবে হবে নতুন সেতু তা-ও বুঝতে পারছি না। আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সেতুটির কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অনেক বার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কাজ শুরু না করায় টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুন টেন্ডার দিয়ে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।’
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, ‘পুরনো সেতু ভেঙে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সরকারি খাতে কোনো টাকা জমা করেনি। কাজ না করায় ওই ঠিকাদারের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। বাঁশের সাঁকো নষ্ট হলে ওই ঠিকাদার ঠিক করবেন।’