আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস পর বগুড়ার নন্দীগ্রামের চার মাসের শিশু নূর সাফায়েত মিজানের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশটি তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
জানা যায়, নন্দীগ্রাম শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি এ কে এম ফজলুল হক কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমার ঘরে জন্ম নেয় মিজান। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে আদালতে মামলা করেন সালমা। এসআই নাজমুল হক জানান, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসামি করা হয় এ কে এম ফজলুল হক কাশেমের প্রথম পক্ষের ছেলে জোবায়ের হোসেন সেতু, মেয়ে নূর আফরোজ জ্যোতি ও পুত্রবধূ সাথী আকতারকে। আদালত মামলার তদন্তভার দেন পিবিআই-বগুড়াকে। পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক ময়নাতদন্তের জন্য শিশুর লাশ কবর থেকে তোলার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।