দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বিভিন্ন স্ট্যান্ডে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে জিবির নামে যে চাঁদা আদায় করা হতো তা এখন বন্ধ রয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় চালকদের মুখে স্বস্তির হাসি। এতে কমছে ভাড়া। খুশি যাত্রীরাও। সরেজমিনে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ও কোটবাড়ি বিশ্বরোড ঘুরে দেখা যায়, অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে জিবির টোকেন দিয়ে এখন আর কেউ চাঁদা দাবি করছে না। অটোরিকশা চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, আগে স্ট্যান্ডে এলে নেতার লোক ও পুলিশকে টাকা দিতে হতো। না দিলে আমাদের চাবি নিয়ে নিত। এখন পুলিশ কিংবা অন্য কেউ টাকা নিতে আসে না। অটোচালক নাছির বলেন, আগে দিনে অন্তত ১২০ টাকা করে চাঁদা দিতাম। এখন আর কেউ চাঁদা নিতে আসে না। আমরা অনেক খুশি। যাত্রী আবদুর রহমান বলেন, যেহেতু জিবির টোকেনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে ফলে ভাড়া কমানো উচিত। আগে চালকরা বিভিন্ন অজুহাতে ভাড়া বেশি নিত।
লাকসামের যাত্রী লোকমান হোসেন বলেন, আগে সিএনজি অটোরিকশায় কুমিল্লা পদুয়ার বাজার থেকে লাকসাম যেতে ৫০ টাকা নিত। ছাত্ররা মাঠে নামায় জিবি বন্ধ হয়েছে। এখন ভাড়া কমে হয়েছে ৪০ টাকা। কোটা আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাকিব হোসেন জানান, তাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।