বগুড়ায় মামলা-হামলায় ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিতে বাতাস লাগতে শুরু করেছে। কার্যালয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা। মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মী জামিন পেয়ে সামনে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই আবারও মিছিল-মিটিং এবং দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন।
অন্যদিকে ১৫ বছর পর ফের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী। রাজনীতিতে ক্ষমতায় থাকাকালেও বগুড়ায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিই ছিল অনেক শক্তিশালী। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করে মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত বিএনপিতে স্বস্তি ফিরেছে। মামলা থাকায় দলীয় কার্যালয় আর আদালতপাড়া নিয়ে বেশি সময় কাটছে বিএনপির। সূত্র জানায়, বগুড়ায় ১২টি উপজেলায় বিএনপির ২৪টি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ১০১ জন সদস্য নিয়ে প্রায় আড়াই হাজার নেতা এখন সক্রিয়। তাদের সঙ্গে রয়েছে এখন লাখো কর্মী। বিএনপির দুর্গে এখন হাওয়া লেগে বেশ দুলে উঠছে। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা জানান, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে তিনি (রেজাউল করিম বাদশা) সভাপতি ও আলী আজগর তালুকদার হেনা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দল ও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি আগেও শক্তিশালী ছিল, এখনো আছে। আগামীতেও থাকবে। মামলা-হামলা করে বিএনপিকে দমানো যায়নি। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা আমির অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন জানান, জামায়াত আসলে গণমানুষের দল। এই দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আওয়ামী লীগ ফায়দা লুটের চেষ্টা করেছিল।