চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ডায়ামোনিয়াম অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কৃষকদের কাছে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কৃষকদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেশি আদায় করছেন ডিলাররা। প্রতি বস্তা ডিএপি সারের সরকারি মূল্য ১০৫০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও ডিলাররা কৃষকের কাছে নিচ্ছেন ১৩৫০-১৪০০ টাকা। ভরা আমন মৌসুমে ডিএপি সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। জানা যায়, সোমবার নাচোল পৌর এলাকার বিসিআইসি সার ডিলার জামিরুল ট্রেডার্সে ডিএপি সার কিনতে যান খেসবা গ্রামের কৃষক রফিকুল আলম। ওই ডিলার জানান ডিএপি সার নেই। পরে রফিকুল দুই বস্তা ডিএপি সার নিলে তার কাছ থেকে প্রতি বস্তায় আদায় করা হয় অতিরিক্ত ৪০০ টাকা। রশিদে ডিএপি সারের দাম বস্তা ১০৫০ টাকা লিখলেও আদায় করা হচ্ছে বেশি দাম। অভিযোগ রয়েছে, নাচোল উপজেলার রাজবাড়ী হাটে অবস্থিত বিসিআইসি সার ডিলার মোজাম্মেল অ্যান্ড সন্স, ধানসুরা বাজারের হোসেন ট্রেডার্স, নেজামপুর লক্ষ্মীপুর বাজারে উজ্জ্বল ট্রেডার্স, শিংরইল বাজারের মতিউরসহ কয়েকজন সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তাদের ইন্ধনেই এসব হচ্ছে। নাচোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুন নূর বলেন, নাচোল উপজেলায় আগস্ট মাসে ডিএপি সারের বরাদ্দ ছিল ৫০৪ টন। ডিলারদের দোকানে একজন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বসিয়ে রেখে ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সারের কোনো সংকট নেই। কোনো ডিলার সারের দাম বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।