বিছানায় কাতরাচ্ছেন ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চুয়াডাঙ্গার মোফাইল হোসেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার ডান পায়ের উরুর হাড় দুই ভাগ হয়ে গেছে। তিনি একটি বৈদ্যুতিক পাখা কারখানার শ্রমিক ছিলেন। দরিদ্র ঘরের উপার্যনক্ষম ব্যক্তিটি এখন কোনো কাজ করতে পারছেন না। বন্ধ আয়-রোজগার। সঙ্গে যোগ হয়েছে চিকিৎসা ব্যয়। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছে মোফাইলের পরিবার। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে। মোফাইল জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়িতে কর্মস্থলের কাছে একটি মেসে থাকতেন তিনি। ওই মেসে বেশকিছু ছাত্র থাকতেন। ১৯ জুলাই ছাত্রদের অনুরোধে আন্দোলনে অংশ নেন। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ একটা গুলি লাগে মোফাইলের ডান পায়ের উরুতে। অন্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঢাকায় এক মাস চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসি। এখন নিয়ম করে পাশের জেলা কুষ্টিয়ায় ডাক্তার দেখাতে যেতে হচ্ছে। দু-এক মাস পরপর ঢাকায় গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে। প্রতিবেশীরা জানান, মোফাইল নিজের কাজগুলোও নিজে করতে পারেন না। নিতে হয় অন্যের সহযোগিতা। পায়ে হচ্ছে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা। মোফাইলের ঘুমতো হয়ই না, জেগে থাকতে হয় বাবা-মা-ভাই-বোনকেও। মা ফরিদা খাতুন বলেন, আরও ৮-১০ মাস বাড়িতে চিকিৎসা নিতে হবে মোফাইলকে। তার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও শারীরিকভাবে তিনিও অসুস্থ। পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস ছিল ছেলে। তার চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে পরিবারের খরচ চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।