বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক আতিকুর রহমান (২৮) এর পাশে কেউ নেই। তিনি আহত অবস্থায় ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত এক মাস পার হলেও কেউ তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। ফলে অনেক কষ্ট নিয়ে হাসপাতালের বেড়ে পড়ে আছেন আতিক।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা সাভার থানার সামনে পুলিশের বুলেটের আঘাতে ডান পায়ে গুরুতর আহত হন রিকশাচালক আতিকুর রহমান। আন্দোলনকারীরা রক্তাক্ত আতিককে দ্রুত নিয়ে যান এনাম মেডিকেলে। সেখানেই মাসব্যাপী তার চিকিৎসা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা বা কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা মেলেনি আতিকুরের ভাগ্যে। তিন দফা অপারেশন হলেও এখনো সুস্থ হতে পারেননি তিনি। নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে অহসায় আতিকের।
আতিকুর রহমান বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম প্রামাণিকের বড় ছেলে। বাবা-মা এবং ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার সাভারে বাস করছেন। এক সময় বেক্সিমকোর গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন তিনি। চাকরি চলে যাওয়ার পর রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। এক সন্তানের জনক আতিক এবং তার ছোট ভাই শাহিনের উপার্জনেই চলতো সংসার। ছোট ভাই শাহিন গার্মেন্ট কর্মী। তিন মাস যাবত সেও বেতন পান না। ফলে বড় ভাই আতিকের উপার্জনেই চলছিল সংসার।