কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেরুলাখালের জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খাল পুনর্খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল সকালে মনোহরগঞ্জের নাথেরপেটুয়া বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা উল্লেখ করেন, লাকসামের ফতেপুর থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনী পর্যন্ত দীর্ঘ ৬০ কিমি দৈর্ঘ্যরে বেরুলা খালসহ বিগত দেড় দশকে এ অঞ্চলের প্রায় সবকটি খাল দখল করে বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পুকুর, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। দখলবাজি, টেন্ডারবাজি করে অনেকেই লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। আর দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। এসব খাল দিয়ে যাতায়াতসহ বর্ষার পানি নিষ্কাশন আর শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদে সেচ কাজ হতো। কিন্তু খালগুলো দখল হয়ে পড়ায় বন্যার পানি সরতে পারছে না। জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবৈধভাবে খাল দখল করে কেউ দোকান নির্মাণ করেছেন, কেউ পুকুরের সঙ্গে একীভূত করে দখলে নিয়েছেন। অবৈধ দখলবাজির দিন শেষ।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাফেজ নুরুন্নবী খালগুলো দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের নিজ দায়িত্বে তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন- ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, নাথেরপেটুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবদুল গোফরান ভুইয়া, ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন মাহমুদ লিটন, মিজানুর রহমান সবুজ, ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন, আরিফুল ইসলাম পরশ, আবদুল মতিন মেম্বার, কামাল হোসেন, ইমরান হোসেন মুন্না, রবিউল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাইমুর রহমান, হাফেজ শরাফত করীম প্রমুখ।