চার মাস ধরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদের ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি, একরের পর একর ফসলি জমি। ভিটেমাটি হারিয়েছেন অনেকেই। উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে চলছে এ অবস্থা। এদিকে নদী ভাঙন রোধে সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, অনেকবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাননি তারা। এ অবস্থায় নিজেদের চাঁদায় প্লাস্টিকের বস্তা ক্রয় করে তাতে বালু ভরিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করেন। এ অবস্থা ঘটেছে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের শাখা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। সরেজমিনে গতকাল দেখা যায় কেউ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরছেন বালু, কেউ ফেলছেন নদীর পাড়ে। এভাবে ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা এ এলাকার নদী ভাঙন কবলিতদের।
তিলাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদুল হক বলেন, দুধকুমার নদে ২-৩ মাস ধরে ভাঙছে। ৩০০ ওপর বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক শত হেক্টর জমির ফসল নদীতে চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না হলে তিনটা ক্যাম্প আছে এখানে বিদ্যুৎ আছে সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান শিলখুড়ি এলাকায় দুধকুমারের ভাঙনসহ অন্যান্য নদনদীতেও ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। পরবর্তীতে বরাদ্দ সাপেক্ষে কাজ করা হবে।