বন্যাকবলিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের মানুষ গো-খাদ্য সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন। অকাল বন্যার পানিতে ৯৫ ভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। জানা গেছে, ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজের প্রায় সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় ভয়াবহ নদীভাঙনের পর এক সপ্তাহ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী ইউনিয়নে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বন্যা উপদ্রব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে দেড় হাজার একর কলাইয়ের খেতেসহ শতশত একর সবজি খেত। ডুবে গেছে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের সেফালী পাড়া, জোহরপুর, মাঠপাড়া, জাউনিয়া, কালুপুর মধ্যচর, চর নূরপুরসহ প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকাসহ আলাতুলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতশত বাড়িঘর। এ ছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, পাঁকা ও উজিরপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। নারায়ণপুর ইউনিয়নের রুস্তুম মণ্ডলের টোলা এলাকার হাবিব ও ফরিদা খাতুন জানান, এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আশপাশের মাঠ ডুবে থাকায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। নিজেদের খাবার জোগাড়ের পাশাপাশি গো-খাদ্য নিয়ে বিপাকে রয়েছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ। গবাদি পশুর সঙ্গে একই ঘরে বসবাস করছেন তারা।
নারায়ণপুর ইউপির চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, বর্তমানে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার একর কলাইয়ের খেত। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। একমাস আগে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তর নারায়ণপুরের লোকজন অন্যত্র বাড়িঘর সরিয়ে নিলেও এখন তারা বন্যার কবলে পড়ে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছমিনা খাতুন বলেন, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে সরকারের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আশা করা যায় তা দ্রুত পাওয়া যাবে। প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই সরকারি ত্রাণসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।