শ্রীপুরের বাঁশবাড়ি গ্রামে চোর সন্দেহে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যায় বিএনপি নেতাসহ সাতজনের নামে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা নাছির গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলার আবেদন করেন। সাতজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে। মামলার বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল।
আসামিরা হলেন- শৈলাট মেডিক্যাল মোড়ের গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে কামরুল হাসান লিটন, খলিলুর রহমানের ছেলে বাবুল, টেপপাঞ্জুর ছেলে শফিকুল ইসলাম, তাজুম আলীর ছেলে জলিল, জলিলের ছেলে সোহাগ, মগার ছেলে ইউসুফ ও সুমেস’র ছেলে ছাত্তার। কামরুল হাসান লিটন উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
নাসির উদ্দিন বলেন, বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ১৩ সেম্পেম্বর রাতে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। শৈলাট পশ্চিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে ছেলেকে কয়েক ঘণ্টা পেটায় তারা। একপর্যায়ে চায়ের দোকান থেকে গরম পানি নিয়ে ছেলের শরীরে ঢেলে দেয়। ছেলে এ সময় পানি পান করতে চেয়েছিল, জীবনটা ভিক্ষা চেয়েছিল, কিন্তু তারা পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি।
নিহত ইসরাফিলের চাচা আব্দুর রহিম জানান- মারধরের পর একটি ভ্যানে ইসরাফিলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। অর্থাভাবে তিন দিন পর ভাতিজাকে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃস্পতিবার দুপুরে ইসরাফিল মারা যান।