তীব্র দাপদাহের পর দুই দিন ধরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। টানা বর্ষণে দিনাজপুরের নদী-নালা খাল বিলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে স্রোতের কারণে পাড় ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে মানুষের চলাচলের রাস্তা, কৃষকের উৎপাদিত ফসল ও কৃষি জমি। এদিকে স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউপির বড়হাট এলাকার ‘পাথরঘাটা’ নদীর পাড় ঘেঁষে বৃষ্টিশপাড়া এবং প্রফেসর পাড়ার মানুষের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়।
পাশাপাশি চলাচলের জন্য সড়কের কিছু অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
বীরগঞ্জের বড়হাট গ্রামের কলেজছাত্র শোভন শর্মা রনি বলেন, রাস্তাটি নদীর ধার ঘেঁষে হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর অর্থায়নে প্রতিবার মেরামত করা হলেও ভাঙন রোধ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাস্তা এবং কৃষি জমির কিছু অংশও নদীতে বিলীন হতে চলেছে। দুই দিনের বৃষ্টিপাতে রাস্তা ও সাঁকো ভেঙে যাওয়া ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ।
মোহনপুর ইউপি সদস্য আবদুল হামিদ জানান, আনুমানিক দুই বছর আগে তার এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এ সাঁকো দিয়ে বৃষ্টিশপাড়া এবং প্রফেসর পাড়ার শতশত মানুষ যাতায়াত করে। সাঁকো দিয়ে সিপাইদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাথরঘাটা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। কিন্তু নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে সাঁকোটি ভেঙে গেছে। সাঁকোটি দ্রুত নির্মাণে সরকারি পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলাম চৌধুরী শাহিন জানান, এলাকাবাসীকে নিয়ে সাঁকোটি পরিদর্শন করেছি। কিন্তু গত দুই দিনের বৃষ্টিতে নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ায় রাস্তা এবং ফসলি জমিসহ সাকোটি নদীতে ভেঙে পড়ে। এ সাঁকোটি দ্রুত মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিখিতভাবে আবেদন করা হবে। প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা করেন তিনি।