কুষ্টিয়ার খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চার শিশুর পরিবারে কান্না থামছে না। কুঠিপাড়ার পাশাপাশি বাড়ির তিনটি পরিবারে কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে কান্নার রোল ভেসে আসছে। শিশুদের মায়েরা বিলাপ করে কাঁদছেন। এদিকে চাপা দেওয়া মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পাশের জলাশয় থেকে তুলে হাইওয়ে থানায় রেখেছে পুলিশ। চালকের নামে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেছেন তারা।
খোকসা থানায় হাইওয়ে পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান চালক কাবেরকে আসামি করে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেছেন। এএসআই মশিউর রহমান জানান, গাড়িচালক কাবেরের বাড়ি মেহেরপুরে। তার মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরো ঠিকানা না পেলেও কাবেরকে গ্রেপ্তার করা যাবে, বলেন তিনি। মশিউর বলেন, কালো রঙের এ হাইচ মাইক্রোবাসে ভাড়ায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিলেন। গাড়ি জলাশয়ে পড়ে গেলে চালক ও যাত্রীরা জানালার গ্লাস খুলে বের হয়ে আসেন। তারা তেমন আহত হননি।
নিহত মারিয়া ও তানজিলার বাবা পালন শেখ একেবারেই বাকরুদ্ধ। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে। দুই মেয়ে হারিয়ে এখন ছোট ছেলেকে নিয়ে আছেন বাড়িতে। এ ছাড়া মিম খাতুন মারিয়া ও তানজিলার চাচাতো বোন। তার বাবা হাানিফ শেখ দিনমুজুর। আর যুথী খাতুনের বাবা হেলাল শেখ ভ্যান চালান। পাশাপাশি বাড়ির সবাই শোকে মুহ্যমান। অসচ্ছল এ পরিবারগুলো মেয়েদের আগ্রহে স্কুলের পড়ার বাইরে কোরান পড়তে দিয়েছিল। চারজনকেই শিমুলিয়া কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। হেলাল শেখ বলেন, আমার মেয়েকে কি আর ফিরে পাব? ওরা রাস্তার ডান পাশ দিয়ে আসছিল, যে চালক তাদের চাপা দিয়ে মারল তার বিচার হওয়া দরকার।