দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদী থেকে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এর প্রভাবে ওই এলাকায় নদীভাঙন বেড়েছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তীরবর্তী ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক একর জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাংশা উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে বালু তোলার জন্য সরকারিভাবে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হাবাসপুরের চরপাড়া বেড়িবাঁধের পাশে সাতটি স্থানে বালুর স্তূপ রাখা হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। এরপর পাইপ টেনে অনেক দূরে বালু ফেলা হচ্ছে। ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে নদীতে। নদীতীরে স্তূপ করা বালু বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। খননযন্ত্র দিয়ে বালু তোলার বিষয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে বেশির ভাগই কথা বলতে রাজি হননি। তবে বালু তোলার সঙ্গে উপজেলা কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা জড়িত বলে জানান তারা। প্রশাসন বিষয়টি জানলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ তাদের। বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কিছু বলতে গেলে হুমকির মধ্যে পড়তে হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা বলছেন, বালু তোলার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতি বছর বর্ষায় নদীতে ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে।
বালু তোলায় অভিযুক্ত হাবাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লতিফ খা বলেন, আসলে রাজবাড়ীর পদ্মা নদী থেকে কোনো বালু উত্তোলন হচ্ছে না। আমাদের লোকজন পাশের জেলা থেকে বালু নিয়ে এসে চাতালে বিক্রি করে। আমরা বৈধভাবে ব্যবসা করছি। কিন্তু পাংশায় বিএনপির দুটি গ্রুপ আছে। প্রতিপক্ষ আমাকে নিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছেন।
বালু উত্তোলন বন্ধে পাংশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোন ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।